ছয় দফা

আমাদের জাতীয় জীবনে স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার প্রসঙ্গ এলেই ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনের তাত্পর্যপূর্ণ ভূমিকার কথা উঠে আসবেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছয় দফা দাবি পেশ করেন। এই দফাকে বাঙালির মুক্তির সনদও বলা হয়। ছয় দফা মূলত লাহোর প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পেশ করা হয়। ঐতিহাসিক ছয় দফার আলোকে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ‘ছয় দফা চত্বর’ নামে এক দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যকর্ম নির্মাণ করা হয়েছে। ষড়ভুজাকৃতির এই স্থাপত্যকর্মটির নকশা প্রণয়ন করেন স্থাপত্য অধিদফতরের সহকারী স্থপতি সিরাজী তারেকুল ইসলাম। সঙ্গে শিল্পের তুলিতে টেরাকোটার আঁচড় লাগান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর সৈয়দ সাইফুল কবীর রঞ্জু।

২০১৪ সালে নির্মিত ছয় দফা চত্বরটি ক্যামপাসের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। ভূমি থেকে আড়াই ফুট উঁচু এই স্থাপনাটি আয়তনে ১২০ ফুট বাই ১২০ ফুট। মাঝখানটা উন্মুক্ত। এই পুরো স্থাপত্যকর্মটি ৩০টি স্তম্ভের ওপর দণ্ডায়মান। সমগ্র স্থাপনাজুড়ে অপরূপ টেরাকোটার নকশা, যা সৌন্দর্যময়তায় যুক্ত করেছে নতুন মাত্রা। এর ছয় দিকে ছয় দফার ঐতিহাসিক দাবি ৬টি টেরাকোটায় নিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর অপরূপ নির্মাণশৈলী দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবেন। অবসরের প্রিয় মুহূর্তগুলো বর্ণিল ছটায় সাজাতে ছয় দফা একটি অসাধারণ স্থাপত্যকলা।

Share
1